ব্রাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, বুরো বাংলাদেশসহ অন্যান্য এনজিওতে চাকরি পেতে অবশ্যই ভাইবা পরীক্ষা দিতে হবে। বিভিন্ন এনজিও ভাইভা প্রশ্ন কেমন হয়? এনজিও ভাইভা প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা পেতে পান? তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য হয়ত উপকারী হবে। তো সময় নিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
এনজিও চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনি ঐ এনজিওর বেসিক আইডিয়া নিয়ে যাবেন। যেমন- ঐ এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা কে? কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? উক্ত এনজিওর শাখা সমূহসহ প্রধান কার্যালয় কোথায়?
এনজিও ভাইভা প্রশ্ন যেমন হয়
বিভিন্ন এনজিও তাদের কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে। প্রতিটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের তাদের কাজের চাহিদার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেন। আর নিয়োগের পার্থী যাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাইভা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন প্রায়শই করে থাকে। তা নিচে আলোচনা করা হলো।
এখানে দেখুন:-মৌখিক পরিক্ষার পোশাক-পরিচ্ছেদ।
১। আপনাকে কেন এই পদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে?
আমার শিক্ষা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এই পদের সাথে সমঞ্জসতা আছে। আমি এই পদে কাজ করার মাধ্যমে আমি আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আশা করি। এছাড়াও যদি কিছু এ্যাড করতে চান তাহলে পজিটিভ ওয়েতে উত্তর দিন।
২। এনজিওতে কেন কাজ করতে চান?
প্রতিটি এনজিওর ভাইবা পরীক্ষায় এ প্রশ্নটি সাধারনত করা হয়ে থাকে। এই প্রশ্নটি হয়ত এজন্য করা হয় যে, একজন প্রার্থী এনজিও সম্পর্কে কতটুকু রিসার্স করেছেন তার একটা ধারনা নেওয়ার জন্য এমন প্রশ্ন করা হয়। তাই এই প্রশ্নটির উত্তর হওয়া চাই প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গিতে। আপনি এখানে কতটা আগ্রহী, যোগ্য কিনা তা দেখা হয়।
এক্ষেত্রে আপনি তাদের বাস্তবায়নাধীন প্রগামগুলো নিয়ে কথা বলুন। তাদের প্রকল্পগুলো যেখাবে ফলপ্রসু ও উপকারী হচ্ছে এমন দিকগুলো বলুন। একই সঙ্গে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর সাথে আপনার আগ্রহ তুলে ধরুন।
৩। বিভিন্ন এনজিও কাজ আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
এ প্রশ্নের উত্তর ভাইভা বোর্ড সবসময় ইতিবাচক ও কৌশলী হওয়া চায়। তারা কিভাবে সোসাল সেফটি, হিউম্যান রাইটস, দরিদ্র বিমোচনে যে ভুমিকা রাখছে তা তুলে ধরুন। এনজিও মূলত দেশের পিছিয়ে পড়া জনগন নিয়ে কাজ করে থাকে।
৪। আপনি পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে কী না?
আপনি যদি ফ্রেসার হয়ে থাকেন, তবে আপনার কোন সংগঠনে কাজ করেছেন কিনা? বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তুলে ধরুন। তার যদি পূর্বে কোন এনজিওতে কাজ করে থাকেন সেটার পজিটিভ উত্তর দিন। তখন যেন কোন কারনে পূর্বের প্রতিষ্ঠান খারাপ ছিল এমনটা বলবেন না। এবং এখানে বেতন বেশি তাই চাকরি ছেড়ে এসেছি এমনটা বলবেন না।
এনজিও ভাইভা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন
আরও দেখুন- বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভাইবাতে যে প্রশ্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভাইভা প্রশ্ন যেমন হয়।
৫। আপনাকে যদি বাংলাদেশের যেকোন স্থানে দায়িত্ব দেই আপনি কি করতে পারবেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই হ্যা বলবেন। চাকরি হওয়ার পরে দেখা আপনি যেভাবে পারেন বদলি হয়ে গেলেন। কিন্তু ভাইবা বোর্ডে না বলা যাবে না।
৬। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি কি?
আমি সাধারনত নতুন নতুন মানুষের সাথে সহজেই মিশে যেতে পারি। এবং নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী। এছাড়াও আমি টিমওয়ার্ক করতে ভালবাসি।
৭। বাংলাদেশের ১০ টি এনজিও নাম বলুন
ব্রাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, বুরো বাংলাদেশ, গাম, এসএসএস, রিক, টিএমএসএস, জাগরণী চক্র ফাইন্ডেশন।
৮। লোনের টাকা কিভাবে আদায় করবেন?
তাকে লোন দিবে তাকে উক্ত তারিখের পূর্বে জানিয়ে দিব।
৯। লোন দেওয়ার সময় কি কি বিষয় দেখবেন?
যে ব্যক্তিকে ঋন দিচ্ছেন তিনি কর্মক্ষম কিনা? তার কাজের পেশাগত ঝুকি কেমন? তার মাসিক আয় কেমন, সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না? তিনি কোন মামলায় জড়িত আছে কিনা। এসব বিষয় দেখে ঋন দিব।
কিছু ভাইবা প্রশ্ন উত্তর নিজে বের করুন
১০।এনজিও মাঠ কর্মীর কাজ কি?
১১। Ngo তে ক্রেডিট অফিসারের কাজ কি?
১২। এনজিও এরিয়া ম্যানেজারের কাজ কি?
১৩। লোন অফিসারের কাজ কি
এনজিও ভাইভা ভাল করার উপায়
নিজের মধ্যে কনফিডেন্স নিয়ে ভাইভাতে যাওয়া। যেই প্রশ্নই করুক না কেন আপনি সাথাসাথে নয় মূখস্থ থাকলে একটু পড়ে বলুন। তাতে বোর্ড হয়ত ভাববে প্রশ্নটি আপনি নিজে থেকে ভেবে চিন্তের উত্তর দিয়েছেন। অবশ্যই ফরমাল ড্রেসে যাবেন।
সারকথা
আশা করি এনজিও ভাইভা প্রশ্ন কেমন হয় তার একটি ধারনা পেয়েছেন। তবে চাকরি পেতে আপনাকে অবশ্যই একটু পরিশ্রম করতে হবে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের বিভিন্ন তথ্য নোট করে নিবেন। পাশাপাশি ইউটিউবে প্রাপ্ত তথ্যাদিও নোট করে নিবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।