চাকরি নামক সোনার হরিন পেতে আমাদের সকলের ই একটু পরিশ্রম করতে হয়। একটি চাকরির জন্য আমরা কয়েকটি স্টেপ শেষ করে চূড়ান্ত স্টেপ হল ভাইভা। তাই এ অংশে ভাল করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ভাইভার আগের দিন ও ভাইভার দিনের প্রস্তুতি টা নেওয়া দরকার প্রপার ওয়েতে।
চাকরি পেতে আপনাকে অন্যদের থেকে একটি হলে ব্যতিক্রমী হতে হবে। আপনার প্রেজেনটেশন, কনফিডেন্স, পূর্বপ্রস্তুতি আপনাকে কাক্ষিত লক্ষে পৌছতে সহায়তা করবে।
ভাইভার আগের দিনের প্রস্তুতি
১) অধিপদ্তর কিংবা মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞপত্তির নির্দেশনা অনুযায়ী বোর্ডের সামনে প্রবেশপত্র, শিক্ষাজীবনের সব সার্টিফিকেটের মূল কপিসহ যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে, সেগুলোকে আগের রাতেই গুছিয়ে একটি ভাইভা ফাইলে রেখে দিন।
২) বিশেষকরে ভাইভা ফাইলে অবশ্যই কমপক্ষে ২ টি চলিত কলম রাখবেন যা সাধারনত (একদম নতুন কলম নয়)।
৩) ভাইভার দিন আপনি যে পোশাক পরবেন, সেটা আগেই ঠিক করে গুছিয়ে রাখুন।
৪) ভাইভার ২-৩ দিন আগে ছেলেরা মাথার চুল সুন্দর ও মার্জিতভাবে কাটিয়ে নিন।
৫) ভাইবার আগের রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমালে ভাইবা বোর্ডে মাথা কাজ করে বেশি। না হয় অনেক সময় পারা প্রশ্নের উত্তরও মাথায় আসে না। তাই ভাইভার আগের রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পগুন এবং টেনশনমুক্ত ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৬) ভাইবার প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ বা অপর্যাপ্ত মনে করে বাড়তি টেনশন করবেন না।
৭) আপনি যদি ভাইভার স্থান থেকে দূরে অর্থ্যাৎ ভাইভা যদি ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং আপনার বাড়ি যদি ঢাকা থেকে দুরে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একদিন আগেই ঢাকাতে চলে আসুন।
৮) ভাইভার জন্য কোন নোট করা থাকলে সেটা রিভিশন দিন। এবং ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ও পদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
ভাইভার দিনের প্রস্তুতি
১) প্রথমেই পেপারটি হাতে নিয়ে হেডলাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো পড়ে নিন।
২) ছেলে প্রার্থীরা আগের দিন সেভ না করে থাকলে সেভ করে নিন।
৩) ভাইভা বোর্ডে যেন নির্ধারিত সময়ের ১-২ ঘন্টা আগে পৌছানো সম্ভাপর হয়, সেইভাবে হাতে সময় নিয়ে বের হোন বাসা থেকে। ভাইভা বোর্ডে আগে অবস্থিত হতে পারলে অনেকটা রিল্যাক্স মোডে থাকা যায়। হাতে কম সময় নিয়ে বের হলে, ভাইভা বোর্ডে যথা সময়ে পৌছাতে পারা না পারার টেনশন অনেককিছু ভুলে যেতে পারেন।
৪) ভাইভা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে, ভাইভা বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী বা অফিস সহকারীর কাছে পরবর্তী করণীয় বিষয় জেনে নিন।
৫) ভাইভা বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী বা অফিস সহকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কাজগুলো ফেলে না রেখে যতটা সম্ভব সাথে সাথে করার চেষ্টা করুন ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য।
৫) ভাইভা বোর্ডে আপনার সিরিয়াল পরে থাকলে, যাদের ভাইভা আপনার আগে হয়ে যাবে, তাদের কাছ থেকে ভাইভার প্রশ্ন ধারণা নিতে পারেন কিছুটা। তবে সেইসব প্রশ্ন নিয়ে বেশি উদ্বিঘ্ন হওয়া যাবে না; কেবল ধারনা নিবেন প্রশ্ন প্যাটার্ন বোজার জন্য। আপনার আগের প্রার্থীকে যে প্রশ্নটি করেছে, ঠিক একই প্রশ্ন আপনাকেও যে করবে, এমন সম্ভাবনা একদম কম।
এখানে শেয়ার করা ট্রিকস গুলো আপনাকে যথেষ্ট উপকারে আসবে বলে ধারনা করছি। তবে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। দেখুন আজকে সোনার দাম কত বাংলাদেশ